নামকরণ
এ সূরাটি দু'টি নামে পরিচিতঃ আত্ তাওবাহ ও আল বারাআতু। তাওবা নামকরণের কারণ, এ সূরার এক জায়গায় কতিপয় ঈমানদারের গোনাহ মাফ করার কথা বলা হয়েছে । আর এর শুরুতে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে একে বারাআত (অর্থাৎ সম্পর্কচ্ছেদ ) নামে অভিহিত করা হয়েছে।
বিসমিল্লাহ না (more…)
প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান (১০০-১৫০)
পবিত্র কুরআনঃ
১০০)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে কতটি সূরা আছে?
উত্তরঃ ১১৪টি।
১০১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
১০২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা বাকারা।
১০৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা কাওছার।
১০৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি কোন সূরায়?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারার ২৮২ নং আয়াত।
১০৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। (সূরা বাক্বারা ২৫৫ নং আয়াত।
১০৬) প্রশ্নঃ ফরয নামাযান্তে কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে
কোন বাধা থাকে না?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী।
১০৭) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরাটি পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ সূরা...
প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান (১-৯৯)
সংকলন ও গ্রন্থনা: মুহা: আবদুল্লাহ্ আল কাফী
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
ঈমান ও আক্বীদাঃ
১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। (সূরা ত্বহাঃ ৫)
৪. প্রশ্নঃ আল্লাহর আরশ কোথায় আছে?
উত্তরঃ সাত আসমানের উপর।
৫. প্রশ্নঃ আল্লাহ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?
উত্তরঃ না। আল্লাহ্ সবজায়গায় বিরাজমান নন। তিনি সপ্তকাশের উপর সুমহান আরশে (more…)...
হাদিসের আলোকে ইয়াজুজ মাজুজের শেষ পরিণতিঃ
* হযরত খালেদ বিন আব্দুল্লাহ -আপন খালা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- একদা নবী করীম সা. বিচ্ছু দংশনের ফলে মাথায় বেন্ডিস বাঁধাবস্থায় ছিলেন। বললেন- তোমরা তো মনে কর যে, তোমাদের কোন শত্রু নেই! (অবশ্যই নয়; বরং শত্রু আছে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে)
তোমরা (more…)
নাযিলের সময়কাল
এ সূরাটি দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পর নাযিল হয়। ইসলাম ও কুফরের মধ্যে সংঘটিত এ প্রথম যুদ্ধের ওপর এতে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে সূরার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে চিন্তা -ভাবনা করলে অনুমান করা যায়, সম্ভবত এ সমগ্র সূরাটি একটি মাত্র ভাষনের অন্তরভুক্ত এবং একই সংগে এ ভাষণটি (more…)
নামকরণ
এ সূরার ৪৬ ও ৪৭নং আয়াতে (পঞ্চম রুকূতে) আসহাবে আরাফ বা আরাফবাসীদের উল্লেখ করা হয়েছে । সেই জন্যে এর নামকরণ করা হয়েছে আল আরাফ। অন্য কথায় বলা যায়, এ সূরাকে সূরা আল আরাফ বলার তাৎপর্য হচ্ছে এই যে, যে সূরার মধ্যে আ’রাফের কথা বলা হয়েছে ,এটা সেই (more…)
আলেমগণ মেয়েদের চুল ছোট করে কাটা নিষিদ্ধ করেছেন ২টি হাদিসের বক্তব্যকে সামনে রেখে -
১. অমুসলিমদের অনুসরণ করা
২. ছেলেদের সাদৃশ্য ধারণ করা
**১ম হাদিসঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
"যে ব্যক্তি যে জাতির অনুসরণ করবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।"
[আবূ দাউদ, ৪০৩১]
অমুসলিম নারীরা চুল ছোট রাখে। তাই তাদের অনুসরণ করা নিষিদ্ধ।
**২য় হাদিসঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওইসব নারীদের লা'নত করেন, যারা পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহন করে এবং ওইসব পুরুষদের লা'নত করেন যারা নারীদের সাদৃশ্য গ্রহন করে।
[বুখারী, ৭/২০৫]
বর্তমান সময়ের ফ্যাশন সচেতন বোনেরা অনেকেই চুল ছোট প্লাক করে থাকেন এবং নানা রঙের নানা ধরনের কাটিং ও ব্যাবহার করে থাকেন। অথচ যারা এমন করেন, রাসুল (সাঃ) তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন। কাজেই বোনেরা আল্লাহর ভয়ে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
● ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলু...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামায তিন রাকাত পড়তেন, এক রাকাত পড়া প্রমাণিত নয়। তদ্রূপ যেসব রেওয়ায়েতে তিন রাকাতের অধিক, যথা পাঁচ, সাত বা নয় রাকাত পড়ার কথা বলা হয়েছে সেখানেও মূল বিতর তিন রাকাত। বর্ণনাকারী পূর্বের বা পরের রাকাতসমূহ মিলিয়ে সমষ্টিকে ‘বিতর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
নবী (more…)
ইয়াজূজ এবং মাজূজ হচ্ছে আদম সন্তানের মধ্যে দু’-টি গোত্র, যেমনটি হাদিস এবং বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ অস্বাভাবিক বেঁটে, আবার কিছু অস্বাভাবিক লম্বা। কিছু অনির্ভরযোগ্য কথা-ও প্রসিদ্ধ যে, তাদের মাঝে বৃহৎ কর্ণবিশিষ্ট মানুষও আছে, এক কান মাটিতে বিছিয়ে এবং অপর কান গায়ে জড়িয়ে বিশ্রাম (more…)...
দাব্বাতুল আরদ হচ্ছে ভূমিগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা এক প্রাণী যে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে - "যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের নিকট আসবে তখন আমি মৃত্তিকাগর্ভ থেকে বের করব এক প্রাণী, যা তাদের সাথে কথা বলবে, এজন্য যে মানুষ আমার নিদর্শনে অবিশ্বাসী’' (সূরা
আন নমল:৮২)
কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে ব্যভিচার, অনাচার, হত্যাযজ্ঞসহ সর্বপ্রকার অপরাধ এত অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে যে, কে মুমিন আর কে মুনাফিক পার্থক্য করা কঠিন হবে। তখন-ই আল্লাহ অদ্ভুত প্রাণীর আত্মপ্রকাশ ঘটাবেন।
o অদ্ভুত প্রাণী কি?
o কোথায় এবং কখন প্রকাশিত হবে?
o কি করবে?
কেমন হবে এই অদ্ভুত প্রাণী?
এব্যাপারে সহীহ হাদিসের সংখ্যা নিতান্তই কম। এই অদ্ভূত প্রানীটির বৈশিষ্ট্য নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে (আল্লাহই ভালো জানেন )।
এ ব্যাপারে প্রামাণ্য ও স্বতঃসিদ্ধ কথা হল যে,
o বাস্তবেই তা একটি প্রাণী।
o সে মানুষের সাথে কথা বলবে।
...