- কিয়ামত কি ও কখন হবে? পর্ব ১
- কিয়ামতের আলামত বা নিদর্শন সমূহ – কিয়ামত পর্ব ২।
- কিয়ামতের বড় আলামত সমূহ – কিয়ামত – পর্ব ৩
- কিয়ামতের বড় আলামত – মসীহুদ দাজ্জালের পরিচয়। কিয়ামত পর্ব ৪
- দাজ্জালের দৈহিক বিবরণ ও অবস্থান। – কিয়ামত পর্ব ৫
- দাজ্জাল আগমনের পূর্বে বিশ্ব পরিস্থিতি ও দাজ্জালের অবস্থান নিয়ে কিছু কথা। – কিয়ামত পর্ব ৬
- দাব্বাতুল আরদ কী? – কিয়ামত পর্ব ৮
- ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয় ও সংখ্যা। – কিয়ামত পর্ব ৯
- ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয় বাকি অংশ – কিয়ামত পর্ব ১০।
নাফে’ বিন উতবা বিন আবি ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন-
“অচিরেই তোমরা আরব উপদ্বীপ যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন। অতঃপর পারস্যের (তৎকালীন ইরান) বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করবে, আল্লাহ তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন। অতঃপর রোমানদের (তুরস্ক তথা বাইযাইন্টাইন বাহিনীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ
তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন। পরিশেষে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সেখানেও আল্লাহ তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন।-” (মুসলিম)
মুয়ায বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন-
“জেরুজালেমে জনবসতি বৃদ্ধি মানে মদীনার বিনাশ। মদীনার বিনাশ মানে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। বিশ্বযুদ্ধের সূচনা মানে কনষ্ট্যান্টিনোপল বিজয়। কনষ্ট্যান্টিনোপল বিজয় মানে দাজ্জালের আবির্ভাব।-”
দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বে মুসলমান এবং রোমান খৃষ্টানদের মধ্যে বড় ধরনের কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে। আল্লাহর রহমতে মুসলমানগণ চূড়ান্ত বিজয়ার্জন করবেন। নবী করীম সা. বলেন- “দাজ্জালের পূর্বে তিনটি মহা দুর্ভিক্ষময় বৎসর অতিবাহিত হবে। প্রাকৃতিক সকল খাদ্যোপকরণ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষ প্রচণ্ডখাদ্যাভাবে পড়ে যাবে। প্রথম বৎসর আল্লাহ আসমানকে এক তৃতীয়াংশ
বৃষ্টি এবং জমিনকে এক তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। দ্বিতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে দুই তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। তৃতীয় বৎসর আল্লাহ আসমানকে সম্পূর্ণ বৃষ্টি এবং জমিনকে সম্পূর্ণ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। ফলে এক ফোটা বৃষ্টি-ও বর্ষিত হবে না। একটি শস্য-ও অঙ্কুরিত হবে না। আল্লাহ চাহেন তো মুষ্টিমেয় ছাড়া সকল ছায়াদার বস্তু ধ্বংস-মুখে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে (অর্থাৎ গাছ, পালা ও বৃক্ষকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে)। ”
‘সেদিন তাহলে মানুষ কি খেয়ে জীবন ধারণ করবে হে আল্লাহর রাসূল?’ প্রশ্নের উত্তরে নবীজী বললেন- তাকবীর (আল্লাহু আকবার পাঠ) এবং তাহমীদ (আলহামুদিলাল্লাহ পাঠ) মানুষের পাকস্থলিতে খাদ্যের কাজ দেবে।-” (ইবনে মাজা)
রাশেদ বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত, ইস্তাখির (পারস্য রাজাদের বসবাসস্থল ও ধন সম্পদে সর্বোন্নত নগরী) যখন বিজয় হয়, ‘দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে, দাজ্জাল বেরিয়ে গেছে’ বলে- এক ঘোষক ঘোষণা করতে থাকলে ইবনে জুছামা তার কাছে এসে বললেন- “চুপ কর! নবী করীম সা.কে আমি বলতে শুনেছি- “দাজ্জাল ততক্ষণ পর্যন্ত বের হবে না, যতক্ষণ না মানুষ তার কথা ভুলে যাবে, মিম্বর থেকে দাজ্জালের আলোচনা উঠে যাবে।”
দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান নিয়ে কিছু কথা।
কতিপয় লেখক-গবেষক দাজ্জালের অস্তিত্বকে রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এর সাথে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন। অথচ বারমুডার রহস্য সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু প্রকাশিত হয়নি। আর তার সাথে দাজ্জালের সম্পর্ক রয়েছে কিনা আদৌ এর কোন প্রমাণ মেলেনি। বারমুডার প্রকৃত বাস্তবতা এবং দাজ্জালের সাথে এর সম্পর্ক বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কাহিনী অনেকাংশেই রূপকথার গল্প সদৃশ।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ভৌগলিক অবস্থান ও তাৎপর্যমূলক কিছু আলোচনা।
পশ্চিম আটলান্টিক সমুদ্রে আমেরিকার প্রসিদ্ধ ফ্লোরিডা শহরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে এটি। সুনির্দিষ্টরূপে মাক্সিক উপসাগর থেকে নিয়ে পশ্চিমে লিয়োর্ড দ্বীপ পর্যন্ত। অতঃপর লিয়োর্ড থেকে দক্ষিণে বারমুডা পর্যন্ত প্রায় তিনশ বসবাসযুগ্য ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে অবস্থিত একটি বিশাল সামুদ্রিক এলাকা। বাহামা’র দ্বীপপুঞ্জ-ও এর অন্তর্ভুক্ত। বারমুডায় -জাহাজ/বিমান নিখোঁজ রহস্য উত্তর-পশ্চিম আটলান্টিক (সার্জেসো) সমুদ্রের পানিতে (সার্জেসাম) পিণ্ডীভূত প্রচুর স্রোতের সৃষ্টি হয়, যা সমুদ্র- পৃষ্ঠে চলমান জাহাজের গতিরোধ করে। সার্জেসো সমুদ্রের পানি অস্বাভাবিক প্রশান্ত হওয়ায় সেখানে বাতাসের লেশমাত্রও থাকে না। কতিপয় গবেষক একে আতঙ্ক সাগর বা আটলান্টার সমাধিস্থল বলেও আখ্যায়িত করেছেন। ওখানকার সমুদ্রতলে প্রচুর ডুবন্ত জাহাজ পড়ে থাকার কথাও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিশেষজ্ঞ টীম।
বারমুডায় জাহাজ নিখোঁজ, সূচনাকাল ১৮৫০ সালের দিকে এখানে প্রায় অর্ধশত জাহাজ অদৃশ্য হয়েছিল বলে জানা যায়। এর
মধ্যে কতিপয় নাবিক শেষমুহূর্তে কিছু অস্পষ্ট বার্তা-ও প্রেরণে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু এগুলোর অর্থ অদ্যাবধি কেউ বুঝতে পারেনি। অধিকাংশ জাহাজ-ই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সর্বপ্রথম ইনসার্জেন্ট নামক জাহাজ ৩৪০ যাত্রীসহ নিখোঁজ হয়। এর পরপরই ১৯৬৮ সনে স্কোরবিয়ন নামক সাবমেরিন ৯৯ জন বিশেষজ্ঞ সহ অদৃশ্য হয়।
বিমান নিখোঁজ, সূচনাকাল বারমুডার আকাশে উড্ডয়নরত বিমান হঠাৎ গায়েব। এমন রহস্যপূর্ণ ঘটনাও প্রসিদ্ধ।
১৯৪৫ সালে ফ্লোরিডা এয়ারবিস থেকে ধ্বংসাবশেষ একটি জাহাজের খোঁজে পাঁচটি বিমান আকাশে উড্ডয়ন করে। সবগুলো বিমান কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে উড়ছিল। কিছুক্ষণ পর ক্যাপ্টেনদের কাছ থেকে এয়ারবিসে কিছু বার্তা-সংকেত প্রেরিত হয়ঃ “-“আমরা এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। মনে হয় সম্পূর্ণ দিকভ্রান্ত হয়ে গেছি। ভূ-পৃষ্ঠ আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। কোথায় আছি, ঠিক বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে, আকাশের কোথাও আমরা হারিয়ে গেছি। সবকিছু কেমন যেন অচেনা এবং অদ্ভুত মনে হচ্ছে। দিক ঠিক
করতে পারছি না। সমুদ্রের পানি-ও বিস্ময়কর লাগছে। কিছুই বুঝতে পারছি না…।-” এর পরপরই এয়ারবিসের সাথে তাদের যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া আর-ও বহু বিমান গায়েবের ঘটনা সেখানে ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ট্রায়াঙ্গেলের সীমানায় রহস্যময় ঘটনা জন্মের কারণঃ
১) ভূ-কম্পন তত্ত্ব। গবেষণায় জানা গেছে যে, ভূ-কম্পনের দরুন সমুদ্রের তলদেশে প্রচণ্ড ঝড় ও বিশালকায় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, যা অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে বড় বড় জাহাজকেও সমুদ্রের গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম। এ সকল শক্তিশালী তরঙ্গের দরুন অনেক সময়
আকাশে-ও আকর্ষন শক্তি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিমান গায়েবের মত ঘটনা-ও সহজেই ঘটে যায়।
২) বৈদ্যুতিক চুম্বকতত্ত্ব। কতিপয় গবেষকদের দাবি- বারমুডার আকাশ দিয়ে অতিক্রমকালে বিমানের দিকনির্ধারণ যন্ত্র (কম্পাস) আকস্মিক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ঠিক তেমনি জাহাজের কম্পাসে-ও এ ধরনের ঘটনা ঘটে। বুঝা গেল, সেখানকার পানিতে বিস্ময়কর তড়িৎ চুম্বকাকর্ষণ রয়েছে।
কিন্তু এসব নিতান্তই ধারনা, দাজ্জাল আসলে কোথায় আছে তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই ভাল জানেন।
বারমুডা ট্রায়েঙ্গেলের তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ব্লগসাইট।
দাজ্জাল কিভাবে বের হবে?
তামিমে দারী রা.-এর সাথে দাজ্জাল এবং গুপ্তচরের বাক্যালাপ সম্বলিত হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, দাজ্জাল কোন এক অচীন দ্বীপে লৌহশিকলে বাঁধা রয়েছে। নবীযুগে সে জীবিত ছিল। বিশাল দেহবিশিষ্ট। প্রায় ত্রিশজন সাথী- সঙ্গী সহ তামীমে দারী রা. দাজ্জালকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। কথোপকথনের সময় সে নিজেই স্বীকার করেছে যে, সে-ই দাজ্জাল। শেষ জমানায় সে বাঁধনমুক্ত হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে।
ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- “একদা মদীনার কোন এক গলিতে ইবনে সাইয়াদের সাথে আমার সাক্ষাত ঘটে। তাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বললে গোস্বায় স্ফীত হয়ে সে বিশাল দেহাকার ধারণ করে। বোন হাফসা রা.-এর ঘরে প্রবেশ করলে তিনি আমাকে ধমকের সুরে বলেন- আল্লাহ তোমার সহায় হোন! ইবনে সাইয়াদকে তুমি উত্যোক্ত করো কেন? তুমি কি জান না যে, নবী করীম সা. বলেছেন- নিশ্চয় দাজ্জাল রাগের বশবর্তী হয়ে আত্মপ্রকাশ করবে।-” (মুসলিম)
দাজ্জালের ভ্রমণ-গতিঃ
নবী করীম সা.কে দাজ্জালের গতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-
“বাতাসে তাড়িত মেঘমালার ন্যায়-” (মুসলিম)
দাজ্জাল বিশ্বের প্রতিটি শহরে, প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছবে।
জাবের রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “দ্বীনের দুরবস্থা এবং চরম মূর্খতা- যুগে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে। পৃথিবীতে তার অবস্থান-মেয়াদ হবে চল্লিশ দিন। প্রথম দিনটি এক বৎসর, দ্বিতীয় দিনটি এক মাস, তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহ এবং অবশিষ্ট (37) দিনগুলো স্বাভাবিক দিনের মত হবে। দুই কানের মাঝে চল্লিশ গজের ব্যবধান- এমন গাঁধায় সে আরোহণ করবে। মানুষের কাছে এসে বলবে- “আমি তোমাদের পালনকর্তা!” (অথচ আল্লাহ – কানা নন!) তার দুই চোখের মাঝে আরবীতে (কাফের) লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল মুমিন সেটি পড়তে পারবে। মক্কা- মদীনা ছাড়া প্রতিটি শহরে- প্রান্তরে সে পৌঁছুবে। মক্কা-মদীনার প্রতিটি দরজায় সেদিন আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের সমন্বয়ে প্রহরী নিযুক্ত করবেন।-” (মুসনাদে আহমদ)
যে সকল স্থানে দাজ্জালের আগমন ঘটবেঃ
আনাছ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর এমন কোন শহর নেই, যেখানে দাজ্জাল গিয়ে পৌঁছবে না।-” (বুখারী-মুসলিম)
অপর বর্ণনায়- “মদীনার দরজায় সবসময় ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। দাজ্জাল এবং মহামারী মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।-” (বুখারী-মুসলিম)
নবী করীম সা. বলেন- “মদীনার উদ্দেশ্যে পূর্বদিক থেকে দাজ্জাল আসবে, এমনকি উহুদ পাহাড়ের অপর প্রান্তে সে অবস্থান নেবে।-” (বুখারী)
অপর বর্ণনায়- “উহুদ পর্বতের চূড়ায় উঠে মসজিদে নববীর দিকে তাকিয়ে অনুসারীদের বলবে- তোমরা কি ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখতে পাচ্ছ? (অর্থাৎ মসজিদে নববী) অতঃপর ফেরেশতারা তার চেহারাকে শামের দিকে ঘুরিয়ে দেবেন। সেখানেই তার বিনাশ ঘটবে।-” (মুসলিম)
মিহজান বিন আদরা’ রা. থেকে বর্ণিত, একদা ভাষণকালে নবী করীম সা. বলছিলেন- “পরিত্রাণ দিবস! পরিত্রাণ দিবস! পরিত্রাণ দিবস!, জিজ্ঞেস করা হল- পরিত্রাণ দিবস কি হে আল্লাহর রাসূল?
বললেন- দাজ্জাল এসে উহুদ পর্বতে উঠে মদীনার দিকে তাকিয়ে অনুসারীদের বলবে- তোমরা কি ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখতে পাচ্ছ?
এটি আহমদের মসজিদ!- অতঃপর মদীনায় ঢুকতে চাইলে প্রবেশপথে তরবারী হাতে ফেরেশতাদের দাড়ানো দেখবে। হতাশ হয়ে
সাবখাতুল জুরুফে গিয়ে স্বজোরে ভূমিতে আঘাত করবে। মদীনায় তখন তিনটি ভূ-কম্পন অনুভূত হবে। সকল পাপিষ্ঠ এবং মুনাফিক
সেদিন মদীনা থেকে বেরিয়ে দাজ্জালের সাথে চলে যাবে। সেটাই পরিত্রাণ দিবস!” (মুসনাদে আহমদ)
আরবীতে -“সাবখা-” জলাভূমিকে বলা হয়। সাধারণত মদীনার ভূমিকে সাবখা বলা হয়ে থাকে। তবে মদীনার উত্তর প্রান্তের ভূমির
ক্ষেত্রে শব্দটি বেশী প্রয়োগ হয়। “জুরুফ-” মদীনা থেকে তিন মাইল উত্তরে একটি উপশহর। অনেকেই বলেছেন- শামের সড়ক থেকে ক্বাসাসীন পর্যন্ত সম্পূর্ণ এলাকাকেই জুরুফ বলা হয়। ত্বরীকে হাজ্জাজ থেকে শামের পথ শুরু, যা মাখীয-এর দিক থেকে জাবালে হাবশীর দিকে এসেছে। বর্তমানে জুরুফকে -বুহাই আল আযহার- বলা হয়ে থাকে। কিন্তু হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী জুরুফ বর্তমান -মাররে ক্বানাত- পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। মোটকথা- উহুদ পর্বতের পেছনে কোন এক জলাভূমিতে দাজ্জাল অবতরণ করে স্বজোরে মাটিতে আঘাত করবে। সেখানে অনেক রক্তিম উপপর্বত রয়েছে। ওখানে গেলে বাস্তবেই নবীজীর ভবিষ্যদ্বাণী স্মরণ হয়ে যায়।
অপরদিকে তামিমে দারীর হাদিসে দাজ্জাল-ও বলেছিলঃ “আমি হলাম মাছীহ দাজ্জাল! অচিরেই আমাকে বাঁধন মুক্ত করে দেয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনে সারাবিশ্ব ভ্রমণ করব। কিন্তু মক্কা এবং তাইবা-য় আমাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। যখনই এলাকাদ্বয়ে ঢুকতে চাইব, তরবারী হাতে ফেরেশতা আমাকে ধাওয়া করবে। সেদিন মক্কা-মদীনার প্রতিটি সড়কে ফেরেশতারা প্রহরী থাকবে।
(চলবে)